১৯ সেপ্টেম্বর,২০২৫ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজৈর উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ মাদারীপুর জেলা রাজৈরের পাইকপাড়া ইউনিয়নাধীন বৈরাগীর বাজারে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী জাগ্রত তীর্থভূমি পরিদর্শন করেন। আশ্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত লক্ষ্মী দেবী গোস্বামী জানান ৫১৩ বছর পূর্বে শ্রীমৎ মাতান চাঁদ গোস্বামী এ পবিত্র তীর্থ ভূমির প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্মী দেবী গোস্বামীর গুরুদেব ও শ্বশুর হন শ্রীমৎ মাতান চাঁদ গোস্বামী।এ আশ্রমের গোড়াপত্তন করেন শ্রী শ্রী কুশল চাঁদ গোস্বামী ও তাঁর সহ- ধর্মিনী রাধারানী গোস্বামী।১০৫০ বঙ্গাব্দ হতে প্রতিবছর শ্রী গৌর গোপাল গোস্বামীর তিরোধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্তের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।বছরে দুইবার এখানে মেলা বসে।প্রতিবছর ১০ অগ্রহায়ণ শ্রী শ্রী মাতান চাঁদ গোস্বামীর তিরোধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্তের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আশ্রমের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত লক্ষ্মী দেবী গোস্বামী শ্রী গৌর গোপাল গোস্বামীর সহ- ধর্মিনী। তিনি সারাক্ষণ বার্তাকে জানান,১৯৭৬ সাল থেকে এ তীর্থ ভূমিতে বসবাস করছেন। শ্রীমতি লক্ষ্মী দেবী গোস্বামী জানান, তাঁর পিতৃভূমি ফরিদপুরের সালথা থানা অন্তর্গত বিষ্ণুদী গ্রামে। বাবার নাম ঈশ্বর বানী কান্ত।এ আশ্রম বা মতাদর্শের অনুসারী ভক্তবৃন্দ পরমেশ্বরের বা রাধা রানীর যুগল সেবা বা আরাধনার মাধ্যমে জীবের মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে । এমনটাই জানিয়েছেন আশ্রমের প্রধান লক্ষ্মী দেবী গোস্বামী মাতা।
আশ্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু। সাথে ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট রাজৈর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সনজীব কুমার দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট পাইকপাড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও শ্রী কুশল চাঁদ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সনজীবন কুমার স্বর্ণকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট পাইকপাড়া ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব প্রদীপ কুমার পোদ্দারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দকে শ্রীমতি লক্ষ্মী দেবী গোস্বামী নিজ হাতে প্রসাদ দিয়েছেন। মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেছেন।
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে এ আশ্রমকে কেন্দ্র করে। কর্তৃপক্ষের দাবি সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী এ পবিত্র তীর্থ ভূমি মানব কল্যাণে আরো ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে।